ব্রণ একটি ত্বক জনিত সমস্যা। যা মূলত অতিরিক্ত তেল ময়লা জমা এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। মুখের ব্রণ হলে দ্রুত প্রতিকার প্রয়োজন।
তবে কেমিকেল যুক্ত পণ্য ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করা নিরাপদ এবং কার্যকর। কারণ অনেকেই কেমিক্যাল
ব্যবহার করার মাধ্যমে নিজের মুখমণ্ডল আরো নষ্ট করে ফেলে। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায় হতে পারে একমাত্র সহজে এবং সুন্দর সমাধান।
আরও পড়ুনঃ শীতকালীন স্বাস্থ্য টিপস – সুস্থ ও সচেতন থারুন
ব্রণ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপাদান খুবই কার্যকরী। এক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই এই নিয়ম অনুযায়ী ঘরোয়া উপায়ে নিজেদের ব্রণ দূর করতে পারবে।
মধু এবং দারুচিনি পেস্ট করা-
ব্যবহার –
- দুই চামচ মধু এবং একটি চিমটি দারুচিনি গুড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
- এটি ব্রণের উপরে মেখে দশ থেকে বিশ মিনিট রেখে দিন
- হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে ধুয়ে ফেলুন
উপকারিতা – মধুতে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুণ রয়েছে যা জীবাণু ধ্বংস করে আর দারুচিনি ত্বকের প্রদাহ কমিয়ে দেয়।
এলোভেরা জেল
ব্যবহার –
- একটি তরতাজা এলোভেরা পাতা কেটে এর জেল বের করে নিন
- সরাসরি ব্রণের উপর মাখন এবং সারারাত রেখে দিন
- সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন
উপকারিতা – এলোভেরা প্রদাহ কমা এবং ত্বক ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে
লেবুর রস এবং গোলাপজল
ব্যবহার –
- এক চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে নিন
- এটি ব্রণের উপর আলতো করে লাগিয়ে নিন
- 15 থেকে 20 মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন
উপকারিতা – লেবুর রসে রয়েছে প্রাকৃতিক এসিড যা পকেট তেল নিয়ন্ত্রণ করে গোলাপ জল ত্বক মিশন ও সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
চন্দন গুড়া এবং কাঁচা দুধ
ব্যবহার –
- ২ চামচ চন্দনগুলোর সাথে কাচা দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন
- পুরো মুখে লাগিয়ে বিশ মিনিট অপেক্ষা করুন
- ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন
উপকারিতা – চন্দনের গুড়া ত্বকের দাগ হালকা করে এবং দুধ ত্বক রাখে মেয়েরা বিশেষভাবে ব্যবহার করতে পারে
ব্রণ প্রতিরোধের করণীয়
- প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন, যা ত্বক মসৃণ রাখতে সহায়তা করবে।
- মুখ ধুতে ব্যবহার করুন ফেসওয়াশ
- তেলাক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত মসলযুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে
- নিয়মিত বালিশের কাভার এবং তোয়ালে পরিষ্কার রাখুন
- ত্বকে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন
প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে মুখের ব্রণ দূর করা নিরাপদ এবং কার্যকর। তবে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার জন্য
বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না, গুরুত্বপূর্ণ নিয়মিত পরিচর্যা এবং স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সমস্যার সমাধানের সবচেয়ে বেশি কার্যকারী।