শীতকালীন সময়ের তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারণে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমের প্রভাব পড়ে। শীতকালীন সময়ে সর্দি-কাশি জ্বর গলার ব্যথা ত্বকের শুষ্কতা সহ নানান সমস্যার মধ্যে পড়ি আমরা।
সুস্থতা থাকার জন্য শীতকালে বেশি কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সেই সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ দশটি সাবধানতা এবং নির্দেশনা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।
আরও পড়ুনঃ
- বাংলাদেশের সবচেয়ে ছোট দিন কত তারিখ ?
- ডেঙ্গু হলে কি খাবার খেতে হবে ?
- ডেঙ্গু হলে কি করনীয় ? লক্ষণ এবং চিকিৎসা
পানির পরিমাণ বজায় রাখা
শীতকালে পানি কম পান করার প্রবণতা আমরা দেখতে পাই। যার শরীরে পানি শূন্যতার ঘাটতি ঘটাতে পারে। প্রতিদিন কমপক্ষে
৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এছাড়া গরম পানীয় যেমন হালকা গরম লেবুর পানি গ্রিন টি অথবা হারবাল চা পান করতে হবে।
সুষম খাদ্য গ্রহণ করা
শীতকালীন মৌসুমে সবজি ও ফল পাওয়া যায়। যেমন পালন শাক গাজর ব্রুকলি কমলা মালটা ইত্যাদি খাবার গ্রহণ করতে হবে। এ ধরনের খাবার শরীরে প্রাকৃতিক ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে।
ত্বকের যত্ন নিন
শীতকালে ত্বকের যত্ন নেওয়া দরকার। কারণ শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে নিয়মিত
ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। শীতল ও শুষ্ক বাতাস থেকে ত্বকে রক্ষার জন্য ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
পর্যাপ্ত শারীরিক কার্যক্রম বজায় রাখা
শীতকালে শরীর চর্চার আগ্রহে কমে যেতে পারে এবং কিন্তু প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম এবং হাটার অভ্যাস গড়ে তুলতে হ… এতে করে শরীর সুস্থ থাকে উষ্ণ থাকে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
উষ্ণ পোশাক পরিধান করা
ঠান্ডা থেকে শরীরকে সুরক্ষিত করার জন্য অবশ্যই আরামদায়ক উষ্ণ প্রকাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠান্ডা থেকে শরীরকে সুরক্ষিত
রাখার জন্য গরম কাপড় যেমন সোয়েটার জ্যাকেট ব্যবহার করুন বিশেষ করে কান হাত পা গরম রাখার চেষ্টা করতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করা
পর্যন্ত ঘুম শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, শীতকালে শরীরে বেশি আরামপ্রিয় হয়। তাই অন্তত ৭ -৮ ঘন্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে।
হাঁচিকাচির সময় সাবধানতা
হাঁচি কাশি হলে টিস্যু বা হাত দিয়ে নাক মুখ ঢেকে রাখুন। এরপরে হাত ধুয়ে নিন এতে সংক্রমণ সরানোর প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে।
গরম পানি ব্যবহার করুন
তবে বেশি সময় ধরে গরম পানিতে থাকবে না। কারণ এটি ত্বকের আরো শুষ্ক করতে পারে। তাছাড়া প্রচুর ঠান্ডা পড়লেই অর্থাৎ পানি ঠান্ডা হলে গরম পানি
ব্যবহার করে গোসল করা যেতে পারে, অথবা ঠান্ডা পানি বিকল্প হিসেবে গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন
শীতকালীন ঠান্ডা বা বাইরের খাবার অর্থাৎ অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার পরিবর্তে গরম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
শীতকালীন আদা রসুন মধু লেবু ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় যোগ করতে হবে। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।